বাংলাদেশ পাঁচ বছর পর সিঙ্গাপুর ও দুবাইকে পেছনে ফেলবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক: পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় উঠে এসছে আগামী ৫ বছরের পর বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর ও দুবাইকে পেছনে ফেলবে। তবে তার আগে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে।একটি দেশ অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর হওয়ার পূর্বশর্ত হলো উন্নত যোগযোগের ব্যবস্থা।
রোববার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে মানসম্মত সড়ক অবকাঠামো বিনির্মাণঃ সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিটুমিনের চেয়ে কংক্রিটের রাস্তা বেশি টেকসই হবে। জলবায়ুর কারণে বর্তমানে দেশে বছরের বেশির ভাগ সময়ই বৃষ্টি থাকে।আর বিটুমিনের একমাত্র শক্রুহচ্ছে পানি। এজন্য বিটুমিনের রাস্তা বেশি দিন টেকসই হয় না। তাই ২০ বছরের পরিকল্পনা সামনে রেখে কংক্রিটের সড়ক নির্মাণ করতে হবে।আমার বিশ্বাস কংক্রিটের রাস্তায় প্রথম ১০ বছর হাতই দিতে হবে না। হয়তবা কংক্রিটের রাস্তায় খরচ প্রথমে বেশি হবে কিন্তু টেকসই হিসেবে বিটুমিনের খরচের চেয়ে অনেক কম হবে। যদিও সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, তবুও এর ভিতর দিয়েই কাজ করতে হবে। সীমাবদ্ধতাকে উপেক্ষা করেই দেশকে উন্নয়ন করতে হবে। তাছাড়া জনগণদের প্রকল্পের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। যাদের জন্য প্রকল্প তাদেরকে সংযুক্ত করতে না পারলে আসল উদ্দেশ্য বোঝা যাবেনা।
সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনারা কিসের আশায় বিটুমিনের সড়ক নির্মাণে আগ্রহী। এটা ভুলে যান। কংক্রিট সড়ক নির্মাণ করে মানুষকে মুক্তি দিন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দেওয়া সত্তেও আপনারা কেন কংক্রিটের সড়ক নির্মাণ করছেন না। পৃথিবীর অনেক দেশ বিটুমিন ছেড়ে কংক্রিট সড়ক নির্মাণ করছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জিয়াউল ইসলাম, আইএমইডি সচিব মফিজুল ইসলাম, সওজ এর প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, গবেষক কলামিস্ট আবুল মকসুদ, বুয়েট অধ্যাপক শামসুল হক এবং নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
উল্লেখ্য, পরিসংখ্যান বলছে, গত ৪ দশকে দেশে সড়ক মহাসড়কের সংখ্যা বেড়েছে ২০ হাজার কিলোমিটার। কিন্তু তাতে রক্ষা হচ্ছে না সরকারের গুণগতমান। এতে অর্থ ব্যয় হচ্ছে ঠিকই কিন্তু সুফল পাচ্ছে না কেউ। সুফল না পাওয়ায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতাকে দুষছেন বিশেজ্ঞরা।
No comments